কম্বোডিয়ার সঙ্গে নয়টি সমঝোতা স্মারক এবং একটি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। এ চুক্তি দু’দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ, পর্যটন ও তথ্য-প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের উপস্থিতিতে দুই দেশের প্রতিনিধিরা এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করেন। চুক্তি স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতার আগে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্তে এবং দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর শেখ হাসিনা ও হুন সেন যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার কথা জানান। পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা, জয়েন্ট ট্রেড কাউন্সিলের অধীনে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সহযোগিতা, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ এবং রয়্যাল একাডেমি অব কম্বোডিয়ারের মধ্যে একাডেমিক পর্যায়ে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়া । বাকি সমঝোতা স্মারকগুলো হয়েছে- মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্মৃতিস্তম্ভ এবং স্মৃতি চিহ্ন সংরক্ষণে সহযোগিতা, মৎস্য ও অ্যাকুয়াকালচার খাতে সহযোগিতা, শ্রম ও কারিগরি প্রশিক্ষণ খাতে সরকারি পর্যায়ে সহযোগিতা, বিনিয়োগ প্রসারে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও কাউন্সিল ফর দি ডেভেলপমেন্ট অব কম্বোডিয়ার মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে। আর চুক্তিটি হয়েছে দুই দেশে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি এবং কম্বোডিয়া চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ে। মাত্র ১ কোটি ৬০ লাখ জনসংখ্যার দেশ কম্বোডিয়া প্রায় এক দশক ধরে ৭ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে । বাংলাদেশের সঙ্গে কম্বোডিয়ার দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র ৬৭ লাখ ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৪০ কোটি টাকার মত পণ্য কম্বোডিয়ায় যায়। আর বাংলাদেশ কম্বোডিয়া থেকে আমদানি করে ১৩ কোটি টাকার মত পণ্য।