ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি বলেছেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর হত্যা-নির্যাতনের বিষয়ে মুসলিম বিশ্ব নিরব থাকতে পারে না। কাজাখাস্তান সফর শুরুর আগে তেহরানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ড. রুহানি ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি'র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিতে আজ (শনিবার) কাজাখাস্তান গেছেন।ইরানি প্রেসিডেন্ট তেহরানে বলেন, কাজাখাস্তানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্মেলনের পাশাপাশি রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিষয়েও সম্মেলনেরও আয়োজন করা হবে। ওই সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা-নির্যাতন সম্পর্কে আলোচনা হবে। রুহানি বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর হত্যা-নির্যাতন এখন মুসলিম বিশ্বের জন্য মহাবিপর্যয় হিসেবে দেখা দিয়েছে। মুসলিম বিশ্ব বিষয়টিকে এড়িয়ে যেতে পারে না।মিয়ানমার বাহিনীর অবরোধের মুখে গত ২৪ আগস্ট মধ্যরাতের পর বিদ্রোহী যোদ্ধারা অন্তত ২৫টি পুলিশ স্টেশনে হামলা ও একটি সেনাক্যাম্পে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এতে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।এরপর রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। একের পর এক রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়। অভিযানে হেলিকপ্টার গানশিপেরও ব্যাপক ব্যবহার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সীমান্তে পুঁতে রাখা হয় স্থলমাইন।মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা, কুপিয়ে হত্যা, নারীদের গণর্ষণের অভিযোগ উঠে। তাদের হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই পায়নি বয়োবৃদ্ধ নারী এবং শিশুরাও। প্রাণ বাঁচাতে স্রোতের বেগে তারা বাংলাদেশে আসতে শুরু করে।জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) মুখপাত্র ভিভিয়ান তানের জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। আর ১ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।