বাঙালীর আদি ঐতিহ্য হচ্ছে নবান্ন ও পিঠা উৎসব
নিজস্ব প্রতিনিধি : পাকান, ভাঁপা, চিতই, কুলশি, পুলি, পাটিসাপটা, সন্দেশ ও ফুলসহ খেজুর রসের ভেজানো পিঠা, এরকম অংসংখ্য মজাদার পিঠা নিয়ে কুষ্টিয়া জিলা স্কুল মাঠে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও দিনব্যাপী লালন সঙ্গীত প্রতিযোগীতা অনু্ষ্িঠত হয়। পিকেএসএফ এর সহযোগিতায় দিশা স্বেচ্ছাসেবী আর্থ-সামাজিক ও মানবিক কল্যাণ সংস্থা পিঠা উৎসব ও লালন সঙ্গীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে জেলার ৪টি উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৫টি ষ্টল অংশ নেয়। শহরের যান্ত্রিক জীবন থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের গ্রামের ঐতিহ্যবাহী সব পিঠার সাথে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে এবারই প্রথম দিশা সংস্থা এই সময়ে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই পিঠা উৎসব উপলক্ষে বিদ্যালয় চত্বরে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা পিঠা নিয়ে হাজির হন এবং স্টলে মজাদার পিঠা সাজিয়ে বসেন তারা। শিক্ষার্থীরা পিঠা উৎসব নিয়ে আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। এসময় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা সূধীজনরা পিঠা উৎসবে মেতে ওঠেন। সকালে এই পিঠা উৎসবের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে দিনব্যাপী সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রোখসানা পারভীন। দিশা সংস্থার সভাপতি মোস্তফিজুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক এফতেখাইরুল ইসলাম, দিশার সহকারী নির্বাহী পরিচালক এমআর ইসলাম। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাঙালীর আদি ঐতিহ্য হচ্ছে নবান্ন ও পিঠা উৎসব। নতুন চালের গন্ধে মৌ-মৌ করে গ্রামীণ বাড়ি-ঘরের আঙ্গিনা। যদিও বর্তমানে নগরায়নের ফলে কেউ কেউ পিঠাকে ভুলতে বসেছে। বিশেষ করে নাগরিক জীবনের ব্যস্ততায় আগের মত পিঠার স্বাদ নেওয়া হয়না। তাই এ ধরনের আয়োজন আবহমান বাংলার চিরন্তন রূপকেই মনে করিয়ে দেয় বলে বক্তারা মত দেন। তবে আজকের এই পিঠা মেলায় পিঠা বাড়ী থেকে তৈরী না করে ষ্টলে না এনে এখানে বসে পিঠা তৈরী করলে ভালো হয় বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা। পিঠা উৎসবের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন মেহেদী হাসান। পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ষ্টলে অংশ নেওয়া এবং লালন সঙ্গীত প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
এস এম জামাল, কুষ্টিয়া থেকে।