কোনো ধরনের জামানত ছাড়াই নতুন ঋণ পাবেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। এছাড়া কোনো ধরনের ডাউন পেমেন্ট ছাড়াই তাদের কৃষিঋণও পুনঃতফসিল করতে পারবেন। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতিবিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে সারাদেশের বন্যাকবলিত ৩১টি জেলার কৃষকদের জন্য বিশেষ ছাড় দিতে সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, পুনঃতফসিল ঋণের কিস্তি আগামী ছয় মাস আদায় না করার জন্যও বলা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বন্যায় কৃষক ও ক্ষুদ্রঋণ (এসএমই)খাতের কুটিরশিল্পের উদ্যোক্তারা ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে, তাদের পক্ষে নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধ করা কঠিন হবে। সে কারণে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ক্ষেত্রবিশেষে ডাউন পেমেন্টের শর্ত শিথিল করে স্বল্পমেয়াদী কৃষি ও ক্ষুদ্রঋণ এবং এসএমই খাতের কুটির ও ক্ষুদ্রঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। এ ধরনের ঋণ পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ছয়মাস গ্রেস পিরিয়ড (কিস্তি আদায় বন্ধ) প্রদান করা যাবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এবং এসএমই খাতের কুটির ও মাইক্রো উদ্যোক্তারা যেন প্রকৃত চাহিদার ভিত্তিতে যথাসময়ে নতুন ঋণ সুবিধা পেতে পারেন, সে লক্ষ্যে কোনো অর্থ (কম্প্রোমাইজড অ্যামাউন্ট) জমা ব্যতিরেকেই পুনঃতফসিল পরবর্তী নতুন ঋণ সুবিধা প্রদান করা যাবে। সার্টিফিকেট মামলা (যদি থাকে) সমঝোতার (সোলেনামা) মাধ্যমে স্থগিত বা নিষ্পত্তির মাধ্যমে ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। উল্লিখিত পুনঃতফসিলিকরণ ও পুনঃতফসিল পরবর্তী নতুন ঋণ সুবিধা ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চালু থাকবে।