গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় করতোয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে নতুন করে ৪১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
একই দিন সকাল ও বিকেলে বানের জলে দুই উপজেলায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়। তারা হলো ফুলছড়ি উপজেলার হানিফ মিয়া (৫) ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রিয়া মনি (৪)।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল বন্যার পানিতে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের তরফমনু ও তরফ কামাল নামক এলাকায় পানি ওঠে গেছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে সড়কে চলছে যানবাহন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০৩, ঘাঘট নদীর পানি শহরের ব্রিজ রোড পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার এবং করতোয়া নদীর পানি কাটাখালী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের চেরেঙ্গা বাঁধের ৩০ ফুট, কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের টোংরারদহ এলাকায় করতোয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৬০ ফুট এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হাতিয়াদহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৪০ ফুট অংশ ভেঙে যায়। এতে পলাশবাড়ী উপজেলার ১৬টি এবং গোবিন্দগঞ্জের দরবস্ত ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
বাঁধ ভেঙে এসব গ্রামে পানি প্রবেশ করায় সেখানকার আমন ধানক্ষেত, বীজতলা, শাক সবজির ক্ষেত, পানের বরজ, আখক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিলাব্রত কর্মকার বলেন, ‘নদী ভাঙন প্রক্রিয়া একটা ন্যাচারাল জিজেস্টার (প্রাকৃতিক দুর্যোগ), আপনারা জানেন। এই ন্যাচারাল ডিজেস্টারে গতকালকেও এখানকার যে সাবডিভিশন ইঞ্জিনিয়ারসহ আমরা পরিদর্শন করেছি স্পটগুলো এবং তারা পানি উন্নয়ন বোর্ড এটা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে।
এবং তারা নিত্যনতুন যে ভাঙন প্রবণ এলাকাগুলোকে প্রতিহত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এমপি মহোদয়ের উপস্থিতিতে কালকেও আমরা কয়েক জায়গায় রাত্রের বেলায় পরিদর্শন করেছি এবং আশা করি এটার একটা সুফল জনগণ পাবে।’