সরকারের শেষ সময়ে এসে মন্ত্রিপরিষদে নতুন করে চারজনের অন্তর্ভুক্তির পর নয় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দপ্তর নতুন করে বণ্টন ও পুনর্বণ্টন করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সচিব মো. শফিউল আলম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬-এর রুল ৩(ঘ)-এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের দায়িত্ব বণ্টন ও পুনর্বণ্টন করেন।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে রাশেদ খান মেননকে দেওয়া হয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী ও প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন মারা যাওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এনে প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনিই সবকিছু সমালাতেন। এখন সেই মন্ত্রণালয়ে নতুন পূর্ণ মন্ত্রী আসায় নুরুজ্জামান প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সমালাবেন।
নতুন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল পেয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মধ্যে মন্ত্রণালয় অদলবদল হয়েছে। অর্থাৎ আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে দেওয়া হয়েছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
নবনিযুক্ত মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার শপথ নেওয়া মোস্তাফা জব্বারকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে সরিয়ে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে দেওয়া হয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
এ ছাড়া নবনিযুক্ত প্রতিমন্ত্রী কেরামত আলী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন।