এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারকে চার ছিনতাইকারী মিলে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাইকারী শাহ আলম।
রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘মিন্টু, কামাল ওরফে ফারুক, জাকির ও গ্রেপ্তারকৃত শাহ আলম ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ২১ জুন ফজরের নামাজের আজানের পর উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরে একটি মসজিদের পাশে প্রাইভেট কারে যাত্রীবেশে বসে ছিল। এএসপি মিজানুর রহমান এ সময় ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। ছিনতাইকারী চারজন মিজানুরকে গাড়িতে উঠতে বলে।
গাড়িতে উঠার পর ফারুক বুঝতে পারে মিজানুর সরকারি সংস্থার লোক। তখন ফারুক গাড়ি থেকে নেমে যায় কিন্তু পরক্ষণেই আবার গাড়িতে উঠে। চালকের আসনে ছিল জাকির। শাহ আলম সামনে বসা ছিল। এ অবস্থায় তারা গাড়িতে গান ছেড়ে ও লাইট বন্ধ করে গাড়ি চালিয়ে দেয়। জসীম উদ্দিন রোড হয়ে প্রথমে হাউজ বিল্ডিং ও পরে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের দিকে যায়। গাড়ির পেছনের সিটে বসা মিন্টু একপর্যায়ে এএসপি মিজানের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। পেছনের সিটে বসা আরো দুজন ফারুক ও মিন্টু এএসপি মিজানের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছিল। একজন গাড়িতে থাকা ঝুট কাপড়ের ফিতা দিয়ে মিজানুরের গলা পেঁচিয়ে ধরে থাকে। কিছুক্ষণ পর মিজানুর নিস্তেজ হয়ে পড়েন এবং তার সাড়া-শব্দ না পেয়ে ছিনতাইকারীরা ভয় পেয়ে যায়। পুলিশের ভয়ে তারা ১০ নম্বর সেক্টর থেকে গলি পথ ধরে বেড়িবাঁধ এলাকায় যায়। এরপরই বিরুলিয়া ব্রিজের পাশে ঘন গাছপালা দেখে মৃত মিজানুরকে ফেলে যায়।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহ আলম এসব কথা স্বীকার করেছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো তথ্য বের করা হবে। বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।’
উল্লেখ্য, ২১ জুন রাজধানীর রূপনগর থানাধীন মিরপুর বেড়িবাঁধের বোটক্লাব এলাকার রাস্তার পাশ থেকে এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারের (৫০) লাশ উদ্ধার করা হয়।