চাল নিয়ে মানুষ উদ্বিগ্ন নয়। এর সঙ্কটও নেই। এ কথা বলেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। বুধবার (১৬ আগস্ট) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। বর্তমানে চালের দাম নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো হা-হুতাশ নেই বলেও মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ ছাড়া কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদসহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী জানান, চাল আমদানির ট্যারিফ বা শুল্ক আরো ৮ শতাংশ কমিয়ে ২ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগে খাদ্যশস্য আমদানির ওপর শুল্ক ছিল ২৮ শতাংশ। পরে দাম বাড়ার কারণে শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশে আনা হয়। আজকের বৈঠকে আরো ৮ শতাংশ শুল্ক কমানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে খাদ্যশস্য আমদানির ওপর এখন ২ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। মন্ত্রী বলেন, এবার সরকার বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল এক কোটি ৯১ লাখ মেট্রিক টন। আগাম বন্যা এবং ব্লাস্ট (চিটা) হয়ে যাওয়ার কারণে উৎপাদন ব্যহত হয়। ফলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। তিনি বলেন, ১৫ লাখ টন চাল ও ৫ লাখ টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুই লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন আমদানি করা চাল বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার মধ্যে চলে এসেছে। এর মধ্যে কিছু চাল খালাসের কাজও শুরু হয়েছে।