চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সপ্তাহ খানেক আগে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার বাবা ডা. মীর আবদুল্লাহ।
রবিবার (১৬ জুলাই) ভোর রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শবনম ফারিয়া।
ফারিয়া জানান, চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার বাবার কিডনি, হার্ট ও ফুসফুস চরমভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে।
ফারিয়া বলেন, ‘২০ বছর আগে ভারতে বাবার বাইপাস সার্জারি হয়। দুঃখজনকভাবে তখন যে রক্তটা নেওয়া হয়েছিল সেখানে ম্যালেরিয়ার জীবানু ছিল। এরপর থেকেই বাবা একটু অসুস্থ হয়ে পড়লে সে জীবানু খুব সক্রিয় হয়ে পড়ত। তখন শরীরিক অবস্থা অবনতি হয়ে যেত। আর সর্বশেষ বাবা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হন। তখন আগের জীবানু ও চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস বাবাকে বেশি পরিমানে অসুস্থ করে ফেলে। এরপরই বাবাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাবার কিডনিতেও ক্রিয়েটিনিন-এর পরিমান পাঁচগুন বেড়ে যায়। সর্বশেষ বাবার ফুসফুসে পানি জমে। মূলত এরমধ্যে নিউমনিয়াতেও আক্রান্তে হয়েছিলেন বাবা। কিডনি ও হার্ট ফাংশন নিয়ে চিকিৎসকরা বেশি সময় দিলেও ফুসফুসটা একেবারে অকেজো হয়ে যায়।’
ফারিয়া জানান, গতকাল (শনিবার) রাতে তার বাবার শারীরিক অবস্থার চরমভাবে অবনতি হয়। এরপর আজ, রবিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফারিয়া ও তার পরিবার মরদেহসহ চাঁদপুরের মতলবের পথে রয়েছেন। তাদের গ্রামের বাড়ি সেখানে। মতলবে পারিবারিক কবরস্থানে ডা. মীর আবদুল্লাহকে সমাহিত করা হবে। অন্যদিকে রবিবার (১৬ জুলাই) সকালে ঢাকার মালিবাগের বাসায় প্রথম জানাজা হয় মরদেহের।