দেশের প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচনে আজ বুধবার সকাল নয়টা থেকে ভোট নেওয়া হচ্ছে।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ মানুষের ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোট দিয়ে এই পরিষদ গঠন করছেন।
তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া বাকি ৬১টি জেলায় সকাল নয়টা থেকে শুরু হয়ে বেলা দুইটা পর্যন্ত ভোট চলবে।
ভোট দেওয়ার জন্য প্রতিটি সংশ্লিষ্ট জেলা ও তার উপজেলায় ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। আজকের এই নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৯১৫টি।
ভোটাররা প্রতিটি জেলা পরিষদের জন্য একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৫ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত করছেন।
স্থানীয় সরকারের অন্যান্য স্তরে দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন হলেও জেলা পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে নির্দলীয়ভাবে। এই নির্বাচনে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেয়নি। ফলে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ও বিদ্রোহীদের মধ্যেই মূলত লড়াই হচ্ছে।
তবে গাইবান্ধা, জামালপুর ও কুষ্টিয়ায় তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।
৬১টি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদের মধ্যে ২১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আরও একটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে রয়েছেন। আদালতের আদেশে এ জয় আটকে আছে। এ ছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬৪ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
জাতীয় সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচন হলেও কেবল জেলা পরিষদ আইনে প্রত্যক্ষ ভোটের বিধান নেই। অবশ্য এই বিধান নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন বিচারাধীন আছে।
নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি নিয়ে বিভিন্ন জেলা পরিষদের প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ অভিযোগ করেছেন।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ জানিয়েছেন, ভোট সুষ্ঠু করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। টাকা লেনদেনের অভিযোগের প্রমাণ পেলে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।
নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, এই নির্বাচনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৩ হাজার ৯৩৮ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১২৪ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৯৮৬ আর সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল পদে ৮০৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৩ হাজার ১৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৮ হাজার ৩৪৩ জন এবং নারী ভোটার ১৪ হাজার ৮০০ জন।
ভোটের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ২৩ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ১৮২ জন নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম ভোটের দিন দায়িত্ব পালন করছেন। আটটি সংস্থার ৩ হাজার ২২৫ জন এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে।