জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর (বুধবার)।
রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ইসির মিডিয়া সেন্টারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ১ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৩ ও ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১১ ডিসেম্বর ও প্রতীক বরাদ্দ ১২ ডিসেম্বর। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ডিসেম্বর।
নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন জেলা প্রশাসক। আর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা ক্ষেত্র বিশেষে হবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
কাজী রকিবউদ্দীন বলেন, নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ভোটহগ্রহণ চলবে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। প্রার্থীকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট জেলার ভোটার হতে হবে।
একটি জেলার অধীনে যতগুলোর স্থানীয় সরকার রয়েছে, সেগুলোর সদস্যরাই হবেন ভোটার। অর্থাৎ সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র এবং কাউন্সিলররা বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও পাঁচজন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত করবেন। দেশে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
২০০০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নতুন করে জেলা পরিষদ আইন প্রণয়ন করে। এরপর জোট সরকারের আমলে এ নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে জেলা পরিষদ পরিচালনা করেছে।
তফসিল ঘোষণার সময় সিইসির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আব্দুল মোবারক, আবু হাফিজ উপস্থিত ছিলেন।