ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে জেলায় ছাত্রলীগ নেতা মিজান ও রনি গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষে মঙ্গলবার রাত থেকে ছাত্রলীগের বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা মিজান জেলা কার্যালয় দখল করে রাখেন। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি রনি জেলা কার্যালয় দখল নিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১০ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উভয় গ্রুপের নেতারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরকে ধাওয়া করে।
কেন্দ্রীয় ঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহাবুর রহমান রনি বলেন, ‘আমরা ছাত্রলীগের আসল কমিটি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আমরা সবাইকে নিয়ে উদযাপন করবো। কিন্তু বিদ্রোহী গ্রুপ আমাদের দলীয় কার্যালয়ে আসতে বাধা দিলে এ সংঘর্ষ বাধে।’
বিদ্রোহী গ্রুপের সভাপতি মিজান বলেন, ‘আমরা ছাত্রলীগের মাঠের নেতা কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠন করেছি। আমরা দলীয় কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছি। রনি গ্রুপের লোকজন আমাদের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে আমরা তাদের ধাওয়া করি।’
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, দুই গ্রুপকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।