ছেলের হাতে নির্যাতনের শিকার ৯৮ বছর বয়স্ক বৃদ্ধা মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আউয়াল।
ইতোমধ্যে বৃদ্ধা মাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঠাকুরগাঁও নেওয়া হয়েছে। সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে মর্মে জানান জেলা প্রশাসক।
মঙ্গলবার (১৫ই আগষ্ট) সকালে বৃদ্ধা তাসলেমা খাতুন ক্ষুধার্ত ছিলেন, তখন তিনি বড় বৌমার কাছে ভাত চাইতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
মা হলো পৃথিবীর একমাত্র ব্যাংক যেখানে আমরা আমাদের সব দুঃখ কষ্ট জমা রাখি এবং বিনিময়ে নেই বিনাসূদে অকৃত্রিম ভালোবাসা। মানুষের কাছে সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিটির নাম ‘মা’, সেই ‘মা’ কেই মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে তারই পাষন্ড বড় ছেলে বদিরউদ্দীন (৬০)।
মঙ্গলবার সকালে নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ৪নং ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়া গ্রামে। পাষন্ড ছেলের নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধা ‘মা’ ঐ গ্রামের মৃত সফিরউদ্দীনের স্ত্রী তাসলেমা খাতুন (৯৮)।
তাসলেমা খাতুন বরাত দিয়ে গ্রামবাসী জানায়, বৃদ্ধা তাসলেমা খাতুনের স্বামী মারা যাওয়ার ৩০ বছর হয়। মারা যাওয়ার সময় তার স্বামী দুই ছেলে দুই মেয়ে রেখে যায়, এবং দুই ছেলের নামে ৩ একর ৩০ শতাংশ জমি দলিল দেয়। এবং বসতভিটা বড় ছেলের ছেলে (নাতি) চালাকি করে বৃদ্ধা তাসলেমা খাতুনের কাছ থেকে দলিল করে নেয়। সেই বৃদ্ধা তাসলেমা খাতুন চোখে ঠিক মতো দেখা না, কানে তেমন শোনে না, মুখে কথা বলতে পারে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসী জানায়, খাবার কে কেন্দ্র করে বউয়ের কথায় ছেলে বদিরউদ্দীন বৃদ্ধা মায়ের মুখ বরাবর আঘাত করে। ঘটনাস্থলে বৃদ্ধা মায়ের বাম চোখের নিচ অংশ ক্ষত হয়ে রক্ত পাত হয়। নির্যাতন শেষে বাড়ির বাহিরে ফেলে রেখে যায়। তখনি গ্রামবাসীরা বৃদ্ধা মাকে মুমূর্ষু অবস্থা দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে।