রমজান উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি ৪৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া বোল্ডার বা বিদেশি গরুর ক্ষেত্রে ৪৪০ টাকা, মহিষ ৪৪০ টাকা, খাসি ৭২৫ টাকা ও ভেড়া বা ছাগীর মাংস প্রতিকেজি ৬২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে এক মতবিনিময় শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন এ দাম ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে কোনো মাংস ব্যবসায়ী নির্ধারিত এই দাম না মানলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
মেয়র বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় নাগরিকরা যেন সুন্দরভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে রোজা পালন করতে পারেন সেজন্য ডিএসসিসি মাংসের দাম নির্ধারণ করে থাকে।’
জানা গেছে, মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীরা প্রথমে মাংসের দাম বেশি নির্ধারণ না করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, ‘দেশে মাংসের দাম বেশি থাকলে ভারত, নেপালসহ আন্তর্জাতিক বাজারে গরুর দাম বেড়ে যাবে। আমরা চাই গরুর দাম ৩০০ টাকা হোক। তবে গাবতলীর ইজারাদার ও উত্তর সিটি করপোরেশনের খামখেয়ালিপনায় দাম বেড়ে যাচ্ছে।’
এ সময় ব্যবসায়ীরা মাংসের দাম ৪৮০ টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানালে মেয়র ১০ টাকা কমিয়ে ৪৭০ টাকার প্রস্তাব করেন। তবে ব্যবসায়ীরা আরো ৫ টাকা বাড়ানোর দাবি জানালে মেয়র তা মেনে নেন।
অনুষ্ঠানে হাতের পাঁচ আঙুল সমান হয় না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘কোটি মানুষের এ শহরে অনেক ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাদের মধ্যে দু/চারজন খারাপ ব্যবসায়ী থাকতেই পারেন। আমরা সিটি থেকে মনিটরিং করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি আপনারাও (ব্যবসায়ীরা) তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন।’
মেয়র আরো বলেন, ‘আমরা সব ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসছি যেন কোনো ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে জনগণকে ভোগান্তিতে না ফেলতে পারেন। এমনটি যদি কেউ করেন তাহলে সেখানে ডিএসসিসি হস্তক্ষেপ করবে।’
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কামরাঙ্গীরচর-বেঁড়িবাধ এলাকায় একটি গরুর হাট করার চিন্তা রয়েছে।’
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘আপনাদের প্রস্তাব অনুযায়ী মাতুয়াইল, যাত্রাবাড়ী অথবা কামরাঙ্গীরচরে গরুর হাট করা হবে।’
এ ঘোষণার পর মাংস ব্যবসায়ীরা করতালির মাধ্যমে মেয়রকে স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. বিলালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।