ঢাকায় থার্টিফার্স্ট নাইটে নিরাপত্তার জন্য পোশাক ও সাদা পোশাকে ১০ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এতথ্য জানান।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, রাজধানী নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। কারো বা কোনো জঙ্গি সংগঠনের হামলা করার কোনো সুযোগ নেই। জঙ্গি দমনে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। এর পাশাপাশি দেশবাসীকে তৎপর ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইটে কোথাও কোন আতশবাজি বা পটকা ফোটানো যাবে না। কোন উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উৎযাপন উপলক্ষে নাচ, গান বা কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
কমিশনার বলেন, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে রাজধানীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না। রাত ৮টা থেকে পরদিন ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসব স্থলে লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্রও না আনার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হল।
তিনি বলেন, রাজধানী সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায় ও প্রকাশ্যে কোনো ধরণের জমায়েত, সমাবেশ বা উৎসব করা যাবে না। উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরণের অনুষ্ঠান বা সমাবেত হওয়া যাবে না।
তিনি আরো বলেন, গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের থার্টিফার্স্ট নাইটে রাত ৮টার মধ্যে নিজ এলাকায় ফিরে আসার জন্য অনুরোধ রইল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ঢাবির আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দেওয়ার মাধ্যমে নীলক্ষেত ও শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।