রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
দেশ ত্যাগ করায় ইংলাকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
প্রকাশ: ০৯:৫৯ am ২৬-০৮-২০১৭ হালনাগাদ: ১০:০৩ am ২৬-০৮-২০১৭
 
 
 


থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে দেশটির  উচ্চ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা দায়িত্বে অবহেলা সংক্রান্ত মামলার রায়ের দিনও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল তার মামলার রায়ের দিন ধার্য করা ছিল। এএফপি, বিবিসি। ইংলাকের দল পুয়ে থাই পার্টির সদস্য এক ব্যক্তি বলেন, তিনি (ইংলাক) নিশ্চিতভাবেই দেশ ছেড়েছেন। থাইল্যান্ডের ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষ থেকেও ইংলাকের দেশ ছাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। উপ-প্রধানমন্ত্রী পরুইত ওয়াংসুওয়ান সাংবাদিকদের বলেন, এরই মধ্যে সম্ভবত তিনি দেশত্যাগ করেছেন। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে একটি মামলায় গতকাল আদালতে হাজির না হওয়ায় ইংলাকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন দেশটির সুপ্রিমকোর্ট। গতকাল ওই মামলার রায় দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইংলাক এদিন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় রায়ের পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

তবে ইংলাকের আইনজীবী বলেন, তিনি অসুস্থ, তার কানে সমস্যা হয়েছে। এ কারণে আমার মক্কেল আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। যদিও ইংলাকের আইনজীবীরা আদালতে এ সংক্রান্ত কোনো চিকিত্সা সনদ দেখাতে পারেননি। বিবিসি জানায়, সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিরা ইংলাকের অসুস্থতার বিষয়টি আমলে নেননি এবং দেশ ছাড়তে পরেন এই আশঙ্কায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জরি করে রায়ের পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করেন। সুপ্রিমকোর্টের একজন বিচারকের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের মনে হয় না বিবাদী অসুস্থ। খুব সম্ভবত বিবাদী আত্মগোপন করেছেন অথবা পালিয়ে গেছেন। আমরা ২৭ সেপ্টেম্বর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করছি। এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১০ বছরের সাজা হতে পারে এবং রাজনীতিতে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন। যদিও মামলার শুরু থেকেই ইংলাক গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। ২০১১ সালে থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন ইংলাক। তার বিরুদ্ধে চালে ভর্তুকি প্রকল্পে লাখ লাখ ডলার অনিয়মের অভিযোগ আনার পর ২০১৫ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। ইংলাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের সমর্থক কৃষকদের খুশি করতে চাল ক্রয় প্রকল্পে আন্তর্জাতিক বাজারদরের চেয়ে বেশি মূল্যে চাল কিনেছিল ইংলাক সরকার। এতে চালের বিশাল মজুদ সৃষ্টি হয়। কিন্তু বেশি দামে কেনায় আন্তর্জাতিক বাজারে সেই চাল রফতানি করা যায়নি। ফলে লোকসান হয় ৮০০ কোটি ডলার। তিনি বলেন, উত্পাদনকারী কৃষকদের চালের মূল্য হ্রাসের নেতিবাচক প্রভাব এবং ঋণ থেকে মুক্তি দিতে তিনি এ ভর্তুকি প্রকল্প চালু করেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ইংলাক বলেন, আমার এ পদক্ষেপে ১৮ লাখ কৃষক উপকৃত হয়। উত্পাদনকারী কৃষকদের চালের মূল্য হ্রাসের নেতিবাচক প্রভাব এবং ঋণ থেকে মুক্তি দিতে তিনি এ ভর্তুকি প্রকল্প চালু করেন বলে দাবি করেন। ফলে ক্ষমতাচ্যুত হলেও এখনও দারুণ জনপ্রিয় ইংলাক। আর সে কারণেই তার রায়ে বিক্ষোভ দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কায় গতকাল আদালত প্রাঙ্গণে কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। তবে এরই মধ্যে তার শত শত সমর্থক সুপ্রিমকোর্টের সামনে জড় হয়।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT