নওগাঁ, রাজবাড়ি ও চুয়াডাঙ্গায় বন্দুকযুদ্ধে ৪ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার( ০৭ জুন) রাতে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। চুডাঙ্গায়া: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পাটির শীর্ষ নেতা ওল্টু নিহত হয়েছে।বুধবার রাত ১টার দিকে উপজেলার খাসকররা গ্রামের একটি মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এসময় সেখান থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাব জানায়, খাসকররা গ্রামের বাজার অতিক্রম করার সময় পাশের মাঠ থেকে একদল সন্ত্রাসী র্যাবের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। প্রায় আধা ঘন্টা বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে র্যাব ওল্টুর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল একটি ওয়ান শুটারগান ও ৪ রাউন্ড গুলি থেকে উদ্ধার হয়। নওগাঁ : নওগাঁর মান্দায় পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ এদের ডাকাত দলের সদস্য বলে দাবি করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বুধবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার চৌবাড়িয়া বাজারের কাছে সড়কে পুলিশের উপর হামলা করা হয়। পুলিশও গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত এবং দুজন আহত হন। নিহতরা হলেন- মোজাম্মেল হক ও সুজন হোসেন। মোজাম্মেলের বাড়ি নাটোর, সুজন রাজশাহীর বাসিন্দা। রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের চরদলন্দী এলাকায় বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি লাল পতাকা বাহিনীর বর্তমান প্রধান করম অালী ওরফে কদম নিহত হন। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে ১টি একনলা বন্দুক, ১টি ওয়ান শুটার গান ও ৩ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে। নিহত করম অালী উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপচা গুচ্ছগ্রাম এলাকার কুব্বাত অালী শেখের ছেলে। গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা অাবুল কালাম অাজাদ বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন লাল পতাকা বাহিনীর বর্তমান প্রধান ও ৫টি মামলার অাসামি করম অালীকে অাটক করা হয়। পরে রাতে ডিবি ও গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ধৃত অাসামিকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযানে গেলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রসীরা পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।পরে কদম আলী আহত হন। কদম আলীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।