নারায়ণগঞ্জে আনিছা আক্তার (৮) নামে এক শিশু গত সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিল। আজ শুক্রবার একটি নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় আনিছার লাশ। পুলিশের ধারণা, গণধর্ষণের পর আনিছাকে হত্যা করে ফেলে দেওয়া হয় সেপটিক ট্যাংকে।
সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের উলুকান্দি এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
আনিছা উলুকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
গত সোমবার সকাল সাড়ে আটটায় সৌদি আরব প্রবাসী আনিসুর রহমানের মেয়ে আনিছা তার জমজ বোন আতিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পাশে ‘প্রাইভেট পড়তে’ গিয়ে নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর গত বুধবার সন্ধ্যায় আনিছার চাচা আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি সাধারন ডায়েরি (জিডি) করেন। নিখোঁজের চারদিন পর আজ শুক্রবার সকালে একই গ্রামের আবদুল মালেক মিয়ার নির্মাণাধীন দ্বিতীয় তলা ভবনের নীচে সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে আনিছার লাশ উদ্ধার করে।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম জানান, তাঁর ধারণা এলাকার একাধিক উশৃঙ্খল ছেলে আছিয়াকে অপহরণের পর গণধর্ষণ করে এবং পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ ওই সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়।
ওসি মোরশেদ বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত চলছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর ধর্ষণ বা হত্যা করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।’