আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করলো নির্বাচন কমিশন। রোববার (১৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ রোডম্যাপ প্রকাশ করেন। এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনরার কেএম নুরুল হুদা বলেন, সময়ের প্রয়ােজনে এ রোডম্যাপে পরিবর্তন আসতে পারে। এর আগে শনিবার (১৫ জুলাই) নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সকালের খবরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ইসি সচিব বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত কর্মপরিকল্পনায় ইসি চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে তা বই আকারে প্রকাশ হয়েছে। রোববার সিইসি তা উন্মোচন করবেন।’ তিনি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক এ রোডম্যাপ ধরেই কাজ বাস্তবায়ন হবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে। এ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে সবার কাছে ইসির সব কাজ তুলে ধরা হবে। তাদের মতামত নিয়ে সবার অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে।’ উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই ইসির কমিশন সভায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত রোডম্যাপ বা কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন করে। ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই বিকেল ৩টায় সুশীল সমাজের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। সুশীল সমাজের পর আগস্টের প্রথম সপ্তাহে মিডিয়ার সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি। পাশাপাশি সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর দুই মাস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি। আর এক্ষেত্রে শুধু নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি। এছাড়াও চূড়ান্ত রোডম্যাপে আগামী নির্বাচনে ভোটগ্রহণে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। ইসি সূত্র জানায়, চূড়ান্ত রোডম্যাপ অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৭টি করণীয় বিষয় নির্ধারণ করে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এগুলো হল-আইনি কাঠামো পর্যালোচনা ও সংস্কার, নির্বাচনী প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবার পরামর্শ গ্রহণ, সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ, নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সরবরাহকরণ, বিধিবিধান অনুসরণপূর্বক ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষা ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সবার সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ। ইসি সূত্র জানায়, সংলাপে শেষ মুহূর্তে নারী সংগঠনের নেত্রীদের সঙ্গে বসার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৩১ জুলাই থেকে অক্টোবর নাগাদ এ সংলাপে পর্যায়ক্রমে নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, নারী সংগঠনের নেত্রী ও নির্বাচন পরিচালনা বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।