মেধাবী ছাত্রী খুশির বাবা মায়ের ইচ্ছে ছিল মেয়ে মেডিক্যালে লেখাপড়া করে বড় ডাক্তার হয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করবে। বাবা-মায়ের সেই স্বপ্ন এক নিমিষেই শেষ হয়ে গেল। শারীরিক অসুস্থতার কারনে প্রথম সেমিষ্টার পরিক্ষা দিতে পারেনি উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছাত্রী হাবীবা কুলসুম খুশি (২০)। সেই হতাশা থেকেই নিজের পড়া ওড়না গলায় পেচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে বাবা-মা বন্ধুদের রেখে চিরদিনের মতো বিদায় নিলেন খুশি। বুধবার বেলা পৌনে ১১ টার দিকে উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডের ৩১ নম্বর বাসায় আত্মহত্যা করে খুশি। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উত্তরা আধুনিক মেডিক্যালে নিয়ে আসা হলে চিকিত্সকরা মৃত ঘোষনা করেন। পরে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এদিকে খুশির মৃত্যুর সংবাদে সহপাঠিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। খুশির মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সবাই ছুটে যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে। এসময় সহপাঠিদের কান্নায় হাসপাতালের আকাশ ভারী হয়ে উঠে। ওই হাসপাতালের সহপাঠিরা বলেন, খুশি ছিল সব সময় হাসিখুশি। সে অনেক মেধাবীও ছিল। গত এক মাস আগে আমাদের প্রথম সেমিষ্টার পরিক্ষা হয়। শরীরে পক্স উঠায় ওই সেমিষ্টারে অংশ নিতে পারেনি খুশি। এরপর থেকে তার মধ্যে কিছুটা হতাশা লক্ষ করা যায়। আজ যখন তার মৃত্যুর সংবাদ পাই তখন নিজেদের সামলে উঠতে পারিনি। এমন মেধাবী ছাত্রী হতাশা নিয়ে হঠাত্ চলে যাবে তা কখনো কল্পনাতেও আনতে পারেনি সহপাঠিরা । নিহত খুশির মামা আউয়াল হোসেন বলেন, আমার ভাগনি ছিল অনেকটাই শান্ত-শিষ্ঠ। ছোট বেলা থেকেই খুব মেধাবী ছিল। আজ তার বাবা আবদুল হাকিম বাসার বাইরে ছিল। মা ছিল অন্য একটি রুমে। আর এই সুযোগেই কাজটি করেছে সে। আগামীকাল দুপুরে তার ময়না তদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে লাশ নিয়ে রওনা হবে তার পরিবার। গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হবে। উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই আনোয়ার হোসেন জানায়, খুশি উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিল। গত এক মাস আগে প্রথম সেমিষ্টার পরিক্ষা না দিতে পেরে হতাশায় ভুগছিল। এরমধ্যে দ্বিতীয় সেমিষ্টার পরিক্ষারও প্রস্তুতি চলছিল। এরই মধ্যে গতকাল সে আত্মহত্যা করে।