টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) খুলে দেওয়া হয়েছে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার পোশাক কারখানাগুলো। দুষ্টু চক্রের সব চক্রান্তের অবসান ঘটিয়ে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সিদ্ধান্তের পর কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।
ফলে সকাল থেকেই আশুলিয়ার জামগড়া, বাইপাইল, নরসিংহপুরসহ সব কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য দলে দলে আসতে দেখা যায়। পোশাক কারখানাগুলো ফিরে পায় আগের রূপ। যা বিগত কয়েকদিন কিছু অসাধু স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে বিঘ্নিত হয়।
এদিকে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে বলা হচ্ছে, ছাঁটাইকৃত শ্রমিকরা যেন কারখানায় প্রবেশ করতে না পারেন এবং যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেন। সেদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা যেনো নজর রাখেন।
১১ ডিসেম্বর থেকে আশুলিয়া এলাকায় সৃষ্ট শ্রমিক অসন্তোষকে কেন্দ্র করে গত ২০ ডিসেম্বর ৫৫টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় মালিকপক্ষ। শ্রমিক অসন্তোষের কারণে প্রতিদিন গড়ে ৮০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয় দেশের সবচেয়ে বড় এ শিল্প। সে হিসেবে গত ১৫ দিনে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে এ শিল্পে।
শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় প্রায় ১২০০ জনকে আসামি করে ফাউনটেন, এনআরএন, দ্য রোজ ড্রেসেস, উইন্ডি গ্রুপ, শারমিন গ্রুপ, হামীম গ্রুপ কারখানা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের পক্ষ থেকে দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। এ নিয়ে মোট নয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসব মামলায় ইতিমধ্যে ১০ শ্রমিক, ৮ শ্রমিক নেতা, অভিনেতা, স্থানীয় সাংবাদিক ও সাভার উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিনিসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে চিহ্নিত করে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে প্রায় তিনশ’ শ্রমিককে।
তবে ফের যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শিল্পাঞ্চল এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রচুর সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।