পোপ ফ্রান্সিস সোমবার (২৭ নভেম্বর) মিয়ানমারে সফরে যাচ্ছেন। তিনদিনের এই সফরে তিনি দেশটির নেত্রী অং সান সুচি এবং সেনা বাহিনী প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। কিন্তু মিয়ানমারে সফরের সময় কোন বৈঠকে কিংবা ভাষণে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে পোপকে। আর পরামর্শটি এসেছে মিয়ানমারের কার্ডিনাল আর্চবিশপ চার্লস মোং বো'র কাছ থেকে। সাধারণত এ ধরণের পরামর্শে কখনো পোপের কান দেবার নজির নেই। সে কারণে এবার তিনি পরামর্শটি মেনে চলবেন বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে ভ্যাটিকান। মিয়ানমারে এটাই কোন পোপের প্রথম সফর। দেশটিতে ৬ লাখ ৬০ হাজার ক্যাথলিক খ্রিস্টান বাস করে। বুধবার (২৯ নভেম্বর) ইয়াঙ্গন শহরে এক উন্মুক্ত সমাবেশে পোপ উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া তিনি বৌদ্ধ নেতাদের সাথেও দেখা করবেন। ভ্যাটিকানের কর্মকর্তারা বলছেন, পোপ মিয়ানমার সফরের সময় মৈত্রী পুন:প্রতিষ্ঠা এবং সংকট সমাধানের জন্য সংলাপের ওপর জোর দেবেন। মিয়ানমার সেনা বাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে গত তিন মাসে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ সহিংসতাকে জাতিসংঘ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিগত শুদ্ধি অভিযান বলে অভিহিত করেছে। ভ্যাটিকান থেকে জানানো হয়েছে, পোপের এই সফর মিয়ানমার থেকে জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভাষায় 'জাতিগত নিধনের' শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন, সংকট নিরসনে আলোচনা এবং আন্তর্জাতিক উদ্যোগ সমূহকে বেগবান করার কাজকে উৎসাহিত করবে। বাংলাদেশে সফরের সময় শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকায় রোহিঙ্গাদের একটি ছোট প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পোপের দেখা করবার কথা রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি