আর একদিন পেরোলেই পহেলা বৈশাখ। এই প্রাণের উৎসবকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বাঙালি। সেই সাথে প্রস্তুত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। প্রতিবছরের ন্যায় পহেলা বৈশাখের প্রথম প্রহরে গানের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত ছায়ানটের শিল্পীরা। সেই সাথে ঢাকাবাসীর মাঝে নববর্ষের আনন্দ বাড়িয়ে দিতে প্রতিবছরের মতোই এবারও রমনার জামতলায় উন্মুক্ত কনসার্টের আয়োজন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ সময় রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকবে নববর্ষকে ঘিরে আনন্দ উৎসব। উৎসবে যোগদিতে নিরাপত্তার স্বার্থে নির্দিষ্ট পথ অনুসরণ করে প্রবেশ করা ও বাহির হতে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
আজ সকাল ১১ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক নির্দেশনা সম্পর্কে প্রেস ব্রিফিং এ রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গমনাগমনের পথ নির্দেশনা বলেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম।
আসুন জেনে নেয়া যাক ডিএমপি’র নির্দেশনা অনুযায়ী পহেলা বৈশাখে রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বাহিরের পথ কোনগুলো-
রমনা পার্ক এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে– রমনা রেস্তোঁরা গেইট, অস্তাচল গেইট (শিশু পার্কের বিপরীতে), অরুনোদয় গেইট (সুগন্ধার বিপরীতে), শ্যামলীমা গেইট (কাকরাইল মসজিদের দক্ষিণে), স্টার গেইট (মৎস্য্য ভবন ক্রসিং) ও নতুন গেইট (বৈশাখী অস্তাচল গেইটের মাঝামাঝি) পথ ব্যবহার করে তল্লাশীর মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারবেন।
রমনা পার্ক হতে বাহির হতে হলে– উত্তরায়ন গেইট (মিন্টো রোডের পশ্চিম প্রান্ত) ও বৈশাখী গেইট (আইইবি এর বিপরীতে) গেইট ব্যবহার করতে পারবেন। প্রবেশের নির্ধারিত শেষ সময়ের পর রমনা পার্কের সকল গেইট বাহির গেইট হিসেবে ব্যবহার করে দর্শনার্থীরা বাহির হতে পারবেন।
এছাড়াও রমনা পার্কে প্রবেশ ও বাহিরের ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনার গুলো হচ্ছে-
(ক) ছায়ানটের শিল্পী ও কলাকুশলীবৃন্দ রমনা রেস্তোঁরা গেইট দিয়ে এবং সকাল ০৬.০০ ঘটিকা পর্যন্ত বৈশাখী গেইট দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
(খ) রমনা পার্কের অভ্যন্তরে প্রবেশ এবং বাহির গেইটসমূহ চিহ্নিত করে “প্রবেশ গেইট” এবং “বাহির গেইট” লেখা বড় আকারের এ্যারো সাইনের ডিজিটাল ব্যানার/সাইনবোর্ড দৃশ্যমান স্থানে স্থাপন করা হবে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় গমনাগমনের ক্ষেত্রে যেসব গেইট ব্যবহার করবেন-
প্রবেশ গেইটসমূহঃ শিখা চিরন্তন গেইট, বাংলা একাডেমির বিপরীতে নতুন গেইট ও তিন নেতার মাজার সংলগ্ন গেইট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করা যাবে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বাহির হতে হলে– কালী মন্দির গেইট ও আইইবি গেইট ব্যবহার করে বাহির হওয়া যাবে। এছাড়া টিএসসি গেইট ও ছবিরহাট গেইট বন্ধ থাকবে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছেঃ
(ক) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরে প্রবেশ এবং বাহির গেইটসমূহ চিহ্নিত করে “প্রবেশ গেইট” এবং “বাহির গেইট” লেখা বড় আকারের এ্যারো সাইনের ডিজিটাল ব্যানার/সাইনবোর্ড দৃশ্যমান স্থানে স্থাপন করা হবে।
(খ) টিএসসি ও ছবিরহাট গেইটসমূহ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে।
(গ) নববর্ষের দিন বিকেল ০৫.০০ ঘটিকার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সকল প্রবেশ গেইট বাহির গেইট হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
পহেলা বৈশাখের উৎসব নিরাপদ ও উৎসবমূখর পরিবেশে উদযাপনের জন্য সম্মানিত নগরবাসীকে রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বাহিরের জন্য উল্লেখিত নির্ধারিত পথ ব্যবহারের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।