আজ ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ও দুপুরের দিকে সুনামগঞ্জ, নীলফামারী ও দিনাজপুরে বজ্রপাতে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় সকাল ৮টার দিকে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। নিহতেরা হলেন, সুজাত মিয়া (১৬) ও আবদুল আহাদ (৪৫)। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে সুজাত মিয়া স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। পথে বজ্রপাতে কবলে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। সুজাত মিয়া স্থানীয় আটপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। অপর ঘটনাটি ঘটে কামালখাল গ্রামে। আবদুল আহাদ সকালে গ্রামের পাশের হাওরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সেখানেই বজ্রপাতে তিনি মারা যান। জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী, বজ্রপাতে এক শিক্ষার্থীসহ দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একই দিনে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া গ্রামে খালে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে গোলজার হোসেন (৩৪) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। আজ শনিবার দুপুর একটার দিকে দিনাজপুরের বিরল, বোঁচাগঞ্জ ও খানাসামায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় একজন নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় আরও দুজনকে দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিরলে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। বোচাগঞ্জে নিহত নারীর নাম গীতা রানী (৩৫)। তিনি বোঁচাগঞ্জের রনগাঁয়ের বাসিন্দা। খানসামায় দীনবন্ধু রায় (৪৮) নামের এক কৃষক মারা যান। প্রশাসন সূত্রে বজ্রপাতের ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।