বাংলাদেশে সম্প্রচারিত বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে দেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধের দাবিতে ‘মিডিয়া ইউনিটি’র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সোমবার এক তথ্য বিবরণীতে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, “কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন ২০০৬’ এর ধারা ১৯ এর ১৩ উপধারার আলোকে বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য বাংলাদেশে ডাউনলিংককৃত বিদেশি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এই নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্ট বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের অনাপত্তি ও অনুমতি এবং লাইসেন্স বাতিলসহ আইনানুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সরকারি ভাষ্যে বলা হয়েছে।
বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে দেশের টাকা ‘অবৈধভাবে’ বিদেশে ‘পাচার’ হয়ে যাচ্ছে অভিযোগ তুলে তা বন্ধের দাবিতে গত ৫ নভেম্বর আন্দোলন শুরু করে মিডিয়া ইউনিটি।
সাংবাদিক, ক্যামেরাপারসন, অভিনয় শিল্পী, নাট্যকর্মী, অনুষ্ঠান নির্মাতা, বিজ্ঞাপন নির্মাতা, প্রযোজক ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত বিনিয়োগকারী, ব্রডকাস্টারদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল এই ফোরাম।
তার মধ্যেই বাংলাদেশে সম্প্রচারে থাকা বিদেশি চ্যানেলগুলোতে সব ধরনের দেশি বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে গত বছরের ২৯ নভেম্বর তথ্য ও বাণিজ্য সচিবসহ সাতজনকে বিবাদী করে লিগ্যাল নোটিস দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া।
এরপর গত ২০ নভেম্বর তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানান, বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচারের বিষয়ে যাচাই করে ‘বাস্তবসম্মত’ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পরে তথ্য মন্ত্রণালয় গত ২৪ নভেম্বর বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারে দুই বছরের কারাদণ্ডসহ অন্যান্য দণ্ডের কথা স্মরণ করিয়ে বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেল ডাউনলিংক করে বাংলাদেশে সম্প্রচারকারী ন্যাশনওয়াইড মিডিয়া লিমিটেড ও ডিজি যাদু ব্রডব্যান্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নোটিস পাঠায়।