পাকিস্তানের কোহাটে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আসমা রানি নামের এক মেডিকেল শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। দেশটির খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের অ্যাবোটাবাদে মেডিকেল কলেজে তৃতীয় বর্ষে পড়তেন আসমা। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার (২৭ জানুয়ারি) আসমাকে গুলি করে হত্যা করেছেন মুজাহিদুল্লাহ আফ্রিদি নামের ওই ব্যক্তি। আসমা তার ভাবির সঙ্গে রিকশা থেকে নামার পর তাকে তিনবার গুলি করে মুজাহিদ। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে রোববার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মারা যান আসমা। আসমার পরিবারের বরাত দিয়ে কোহাত ডেভেলপমেন্ট অথরিটি পুলিশ স্টেশনের কর্মকর্তা গুল জানান বলেন, স্থানীয় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এক নেতার আত্মীয় মুজাহিদ আফ্রিদি আসমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু আসমা তাতে রাজি হননি। আসমাকে বিয়েতে রাজি করানোর জন্য তাঁর পরিবারকে চাপ দিতেন মুজাহিদ। তিনি বলেন, গত শনিবার আসমা তাঁর এক বোনের সঙ্গে বাড়িতে পৌঁছান। মুজাহিদ এবং তাঁর সহযোগী সাজিদ আসমাকে দেখামাত্র গুলি ছোঁড়েন। এরপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এদিকে মৃত্যুর আগে হাসপাতালে আসমা জানিয়েছিলেন, মুজাহিদই তাকে গুলি করেছেন। এরপর পুলিশ মুজাহিদের খোঁজে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দেশটিতে এবারই প্রথম নয়। এর আগে গত বছরের জুনে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক স্কুলশিক্ষিকাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে থাকে। গত বছর নভেম্বরে ২২ বছরের এক তরুণীকে পুড়িয়ে হত্যা করে এক যুবক। আরেক ঘটনায় হায়দরাবাদে সাবেক নারী সহকর্মীকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে কার্তিক নামের এক যুবক। দুটো ঘটনাই ঘটেছিল বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায়।