বরগুনার বেতাগীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ডাক্তারিপরীক্ষার জন্য পুলিশ প্রহরায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকা তার স্বামী ভারতীয় নাগরিক পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদেনীপুর জেলার নন্দী গ্রাম থানার বাসিন্দার সঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় স্কুল ছুটির পর বিদ্যালয়ের বারান্দায় কথা বলছিলেন। ওই অবস্থা দেখে কতিপয় যুবক সন্দেহ পোষণ করে জড়ো হয়। তারা স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে শিক্ষকা প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। তালা ভেঙে ছয়-সাত যুবক ভেতরে ঢুকে তার স্বামীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। শিক্ষিকার স্বামীর পরিচয় জেনেও একটি কক্ষে তাকে আটকে রাখে। অপর একটি কক্ষে শিক্ষিকাকে নিয়ে যুবকরা উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। যুবকরা চলে গেলে তারা বের হয়ে বিষয়টি বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন। তিনি বেতাগী থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন। স্বামীকে নিয়ে শিক্ষিকা থানায় গিয়ে নিজে বাদী হয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হল হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের হিরণ বিশ্বাসের ছেলে সুমন বিশ্বাস (৩৫), আবদুল বারেক মিয়ার ছেলে রাসেল (২৪), আ. কুদ্দুস কাজীর ছেলে সুমন কাজী (৩০), সুলতান হোসেনের ছেলে রবিউল (১৮), আ. রহমানের ছেলে হাসান (২৫) ও রহমান হাওলাদারের ছেলে জুয়েল (৩০)। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পুলিশ পাহারায় তাকে রাত সাড়ে দশটায় বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে ভর্তি করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমএম মাহমুদুর রহমান বলেন, ঘটনার পর পর শিক্ষিকা আমার কাছে এসেছিল। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে থানায় পাঠিয়েছি। বেতাগী থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানান, এ বিষয়ে মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।