বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতির তদন্তে গাফিলতিতে ছাড় নয়। এ কথা বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এ কথা বলেন। এর আগে ২৬ জুলাই ৪০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে বেসিক ব্যাংকের তত্কালীন চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চু এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদেশ প্রাপ্তির ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এই ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় মামলা হলেও তাতে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান বা পরিচালনা পর্ষদের কোনো সদস্যকে আসামি করা হয়নি। তবে ঋণগ্রহীতাসহ নয়জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। ওই মামলায় এক আসামির জামিন বাতিল প্রশ্নে করা রুলের চূড়ান্ত শুনানিতে হাইকোর্ট উপরোক্ত আদেশ দেয়। ২০১০ সালের ২ নভেম্বর ক্রেডিট কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদ সৈয়দ ট্রেডার্সের ম্যানেজিং পার্টনার সৈয়দ মাহবুবুল গনিকে ৪০ কোটি টাকা ঋণের অনুমোদন দেয়। ব্যাংকের শান্তিনগর শাখা থেকে এ ঋণ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় ঋণ গ্রহীতা সৈয়দ মাহবুবুল গনি, রূপসা সার্ভেয়ার কোম্পানির চিফ সার্ভেয়ার শাহজাহান আলীসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়। গত বছরের ১০ আগস্ট দুদক শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করে। ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিকে জামিন দেয়। ওই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন মামলা করে দুদক। তখন হাইকোর্ট শাহজাহান আলীল জামিন কেন বাতিল করা হবে না এই মর্মে রুল জারি করে। গতকাল ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।।