মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে খালেদা জিয়া ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। এ সময় সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন।
এর আগে রাত ১২টা ৫০ মিনিটে গুলশান কার্যালয় থেকে দলের নেতাদের নিয়ে শহীদ মিনারের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। এরপর গুলশান, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, পরীবাগ, কাকরাইল, হাইকোর্ট, কদম ফোয়ারা ও দোয়েল চত্বর হয়ে রাত সাড়ে ১টা ২৫ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছান তিনি।
ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ও একান্ত সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে নিয়ে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন খালেদা জিয়া। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, কূটনৈতিকদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ১২টা ২০ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলেও বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সময় পেয়েছেন রাত ১টা ২৮ মিনিটে।
রোববার চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানিয়েছিলেন, ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাত সাড়ে ১১টায় গুলশান কার্যালয় থেকে রওয়ানা দেবেন খালেদা জিয়া এবং সাড়ে ১২টায় শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন তিনি।
দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে দিদার বলেন, “পুলিশ সময় বেধে দিয়েছে, তাই পুলিশের নির্ধারিত সময়ে বের হন খালেদা জিয়া। সোমবার দিবাগত রাত ১টায় গুলশান কার্যালয় থেকে তিনি রওয়ানা দেন।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে মাত্র ৬০ জন নেতাকর্মীকে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের অনুমতি দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের আগমনকে কেন্দ্র করে রাত সাড়ে ১২টা থেকেই হাই কোর্ট মোড় থেকে কার্জন হলের সামনে অবস্থিত দোয়েল চত্বর পর্যন্ত দলের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। পরে খালেদা জিয়া ওই এলাকায় যাওয়ার পরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তারা।