যশোরে ‘আত্মসমর্পণ করা’ সন্দেহভাজন জঙ্গি খাদিজা আক্তারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করেছে পুলিশ। কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক তোফায়েল আহমেদ বাদী হয়ে গতকাল সোমবার রাতে মামলাটি করেন। মামলায় খাদিজা আক্তারের স্বামী হাফিজুর রহমান সাগর ওরফে মশিউর রহমানসহ আরো অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে, বেলা আড়াইটার দিকে যশোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খাদিজাকে হাজির করে পুলিশ সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে। বিচারক মোহাম্মদ আকরাম হোসেন আগামী ১৯ অক্টোবর রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন নির্ধারণ করে খাদিজাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ সময় খাদিজার সঙ্গে তাঁর শিশু ছেলেটি ছিল। বাকি দুই মেয়েকে নানা-নানির জিম্মায় দিয়েছে পুলিশ।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহ উদ্দিন শিকদার বলেন, জঙ্গি সম্পৃক্ততা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে খাদিজার রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তিনি বলেন, খাদিজার স্বামী মশিউরকে আটকের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ওই বাড়ির মালিক সম্পর্কেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গত রোববার রাত ২টা থেকে যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোড মসজিদপাড়ার একটি চারতলা বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ। ১৩ ঘণ্টা পর গতকাল বেলা ৩টায় ওই বিল্ডিংয়ের দোতলার বাসিন্দা খাদিজা তিন শিশু সন্তানসহ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে ওই বাড়ি থেকে তিনটি সুইসাইড ভেস্ট উদ্ধারের দাবি করে পুলিশ। সেগুলো ওই বাড়ির পাশেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। খাদিজা রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান হামলার অন্যতম হোতা নুরুল ইসলাম মারজানের বোন। অন্যদিকে, খাদিজার স্বামী হাফিজুর রহমান সাগর ওরফে মশিউর রহমান নবগঠিত জেএমবির খুলনা অঞ্চলের নেতা বলে দাবি পুলিশের।