দু’টি এয়ারলাইন্সে করে হজে যাওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) এ রায় দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ।
ফলে পছন্দমতো যেকোনো এয়ারলাইন্সে করে হজে যেতে পারবেন যাত্রীরা।
আদালতে হজযাত্রীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুস সালাম মন্ডল। তিনি জানান, রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন অকার্যকর বলে খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বিমান বাংলাদেশ ও সৌদি এয়ারলাইন্স ছাড়া অন্য কোনো পরিবহনে হাজিরা হজে যেতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেয় বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছর হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সহ সভাপতি আব্দুল কবির খান, মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ ও রেজাউল ইসলাম নামের এক হজযাত্রী।
এ রিটের শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৯ জুলাই বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের হাইকোর্ট বেঞ্চ পছন্দমতো বিমানে হজে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে আর্ন্তবর্তীকালীন আদেশ দেন। একইসঙ্গে রুলও জারি করেন।
রুলে বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে হজযাত্রী পরিবহনে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নেওয়া সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।
রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. হাবিবুল গণির হাইকোর্ট বেঞ্চ নিজেদের পছন্দমতো যেকোনো এয়ারলাইন্সে করে যাত্রীরা হজে যেতে পারবেন বলে রায় দেন।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে বৃহস্পতিবার সে আবেদন খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।