রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নে দাঙ্গাপাড়া গ্রামে ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একই পরিবারের ১২ জনকে করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে চারটি শিশু রয়েছে। ওই বাড়ি থেকে একটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও দুইটি সুইসাইডাল ভেস্ট উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও বাড়িটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রবিবার (১১ জুন) রাত ৮টার পর থেকে ওই বাড়ি নজরদারিতে রাখে পুলিশ। রাত ১২টায় ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিবছর তারা বাড়িতে ব্যতিক্রমভাবে ঈদের জামাত পালন করে। গত বছর ঈদের পর থেকে তাদের মাঝে আরও পরিবর্তন আসে। নিজেরা ঈদের আগের দিন বাড়ির উঠানে ঈদের জামাত করতো। এলাকার লোকজনের সঙ্গে তারা মেলামেশা করতো না।’
আটককৃতরা হলো- বাড়ির মালিক রমজান আলী (৫৫) ও তার স্ত্রী আয়েশা বিবি, বড় ছেলে ইব্রাহীম ও তার স্ত্রী মর্জিনা, ছোট ছেলে ইসরাফিল আলম (২৬) ও তার স্ত্রী হারেছা খাতুন, মেয়ে হাওয়া বেগম (২০) ও তার স্বামী রবিউল (২৭)।
এছাড়া বাড়িটি থেকে উদ্ধার করা শিশুদের মধ্যে রয়েছে- ইব্রাহীম ও মর্জিনা দম্পতির তিন মেয়ে তামান্না (৮ বছর), তাসকিরা (৪ বছর), তানশিরা (৭ মাস) এবং রবিউল ও হাওয়া দম্পতির তিন মাসের একটি মেয়ে।
জানা গেছে, রমজান আলী গৌরঙ্গপুর সরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক, ইব্রাহীম সার ব্যবসায়ী, ইসরাফিল আলম স্থানীয় হোমিও চিকিৎসক এবং রবিউল পাচন্দর ইউনিয়নের বনকিশোর চকপাড়ায় কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন।
তানোর থানার এসআই রায়হান আলী বলেন, ‘ওই বাড়িতে সুইসাইডাল ভেস্ট ও বিপুল সংখক বিস্ফোরক দ্রব্য থাকতে পারে। সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়েছে।’