রাশিয়ার ওপর আরও একধাপ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিলো আমেরিকার অর্থ মন্ত্রণালয়। ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রে বাণিজ্যিক পণ্য পাঠানোর অভিযোগে এবার এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। রাশিয়ার কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানি এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকার আগে থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার তালিকায় এখন নতুন করে আরও ২১ জন রুশ কর্মকর্তা ও নয়টি রুশ কোম্পানিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব ব্যক্তি ও কোম্পানির বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের অভিযোগ, তারা ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রে জার্মানির সিমেন্স কোম্পানির তৈরি গ্যাস টার্বাইন সরবরাহ করেছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রাশিয়ার উপ জ্বালানিমন্ত্রী আন্দ্রে চেরেজোভ রয়েছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, নয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রতিহত করার লক্ষ্যে রাশিয়া ‘সতর্ক ব্যবস্থা’ গ্রহণ করবে। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে ইউক্রেনের সাবেক প্রজাতন্ত্র ক্রিমিয়ায় অনুষ্ঠিত এক গণভোটের জের ধরে ওই প্রজাতন্ত্র রুশ ফেডারেশনে যোগ দেয়। আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার এ পদক্ষেপকে ‘ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ’ বলে অভিহিত করে মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এখন পর্যন্ত রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত সে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়নি বরং মাঝেমধ্যে ওই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নতুন নতুন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করে আমেরিকা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন অবশ্য নতুন করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি।