মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য তৃতীয় দফায় ৫৬ দশমিক ৬ টন ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া।
স্থানীয় সময় রোববার কুয়ালালামপুর থেকে এসব ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশে রওনা দেয় দেশটির তৃতীয় ত্রাণ মিশন।
কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব তুন রাজাক ও দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এবারের ত্রাণ মিশনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিলিয়নেরিয়া ইয়ুথের (আইএম ৪ ইউ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রডি মালিক। তিনি জানান, এবার ৫৬ দশমিক ৬ টন মানবিক ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করবে তাঁদের মিশন। এর মধ্যে রয়েছে ওষুধ, বিস্কুট, স্যানিটারি প্যাড, টুথব্রাশ, তোয়ালে, ডিসপোজেবল ডায়াপার ও কম্বল।
ত্রাণ মিশনটি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করছে। তারা বাংলাদেশ সরকারের সহায়তা নিয়ে শরণার্থীদের সরাসরি সহায়তা প্রদান করবে। এ জন্য বাংলাদেশ থেকে অনুমতিও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে আইএম ৪ ইউ।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এসব রোহিঙ্গার কাছে ত্রাণ পাঠানো দেশগুলোর একটি মালয়েশিয়া। গত ৯ সেপ্টেম্বর ও ৭ অক্টোবর দুটি ত্রাণ মিশন পাঠায় দেশটি।
মালয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি বাংলাদেশ সফরে এসে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন। সফরকালে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে মালয়েশিয়া। রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারে একটি ফিল্ড হাসপাতাল করার কথাও জানান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী।