দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ‘মিয়ানমার থেকে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তারা অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ সরকার মানবিক কারণে সাময়িকভাবে তাদের আশ্রয় দিয়েছে। আর বাংলাদেশে আসার পর যেসব শিশু ভূমিষ্ট হয়েছে তারা মিয়ানমারের নাগরিক। তাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবেই বাংলাদেশ সরকার জন্ম সনদ দিচ্ছে। মা ও শিশু উভয়ই মিয়ানমারের নাগরিক। তাদেরকে নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।’
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে পরিচয় দেওয়া হবে কিনা-সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সময় বলে দেবে।’ তাহলে তাদের এখনকার পরিচয় কি-জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা অনুপ্রবেশকারী।’
সোমবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর কমিশনার ফিলিপ ক্যানডিও মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তিনি চলে যাওয়ার পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ্ কামাল উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী জানান, ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য, পয়ঃনিষ্কাশন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ কাজে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। সে বিষয়টি তারা জানাতে এসেছিল।
তিনি বলেন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এখন যেভাবে খাওয়ার ব্যবস্থা করছে আগামীতে তা অব্যাহত থাকবে। উখিয়া ও টেকনাফের যে ২০০০ একর জমিতে রোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্প গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে রাস্তা নির্মাণ করতে ৩৫ কোটি টাকা দেবে ইউএনএইচসিআর। দুই একদিনের মধ্যে তারা টাকা দিয়ে দেবে। আর রাস্তা নির্মাণের কাজে সহযোগিতা করবে সেনাবাহিনী।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে চার লাখ ছাড়িয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ।’