মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সরব হতে বাংলাদেশের বৌদ্ধ নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছে মাদ্রাসা-ভিত্তিক ইসলামপন্থী দল হেফাজতে ইসলাম।
গত শনিবার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধিদল হেফাজতের প্রধান আহমেদ শফীর সাথে দেখা করতে গেলে এই আহ্বান জানানো হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে মি. শফীর কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়।
মূলত: বৌদ্ধ নেতাদের আগ্রহেই এই বৈঠক হয় বলে উভয়পক্ষ স্বীকার করছে।
মিয়ানমার যেহেতু বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এবং সেখানকার রাখাইন প্রদেশে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি যাতে সীমান্তের এপারে বৌদ্ধদের ওপর কোন নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে সেই লক্ষ্য নিয়ে বৌদ্ধ নেতারা ইদানীং নানা ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন।
হেফাজতের আমীরের প্রেস সচিব মুনির আহমেদ জানান, মিয়ানমারের ঘটনায় বাংলাদেশী বৌদ্ধরা যে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ বৈঠকে সেটাই তুলে ধরা হয়েছে।
২০১২ সালে কক্সবাজার জেলার রামুতে বৌদ্ধ ঘরবাড়ি এবং মন্দিরে ব্যাপক হামলা চালানো হয়।
ঐ হামলার আগে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের খবর প্রচারিত হয়েছিল।
বাংলাদেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় অংশের বসবাস বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে। সেখানে হেফাজতের প্রভাবও প্রবল।
কিন্তু সম্ভাব্য আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যদি বৌদ্ধদের কোন উদ্বেগ থেকেই থাকে, তার জন্য কেন তারা হেফাজতে ইসলামীর সাথে বৈঠক করলেন?
ঐ বৈঠকের উদ্যোক্তাদের একজন সম্মিলিত বৌদ্ধ নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক লোকপ্রিয় বড়ুয়া বিবিসির এই প্রশ্নটির কোন সরাসরি জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যান।
তিনি জানান, এই বিষয় নিয়ে তারা সরকারের সাথেও কথাবার্তা বলছেন।
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা অবশ্য অনানুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করছেন যে হেফাজতকে নিয়ে তাদের মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে।
তাই রোহিঙ্গা প্রশ্নে হেফাজতের মনোভাব বুঝতে এবং নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতেই এই বৈঠকটি হলো। -বিবিসি বাংলা।