রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজারের উদ্দেশে গুলশানের বাসা থেকে বের হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আজ শনিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাঁর গুলশানের বাসা থেকে বের হন।
তার আগে সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ সফরে সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব আরো জানান, চেয়ারপারসনকে শুভেচ্ছা জানাতে দলের নেতাকর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকবে। এই ব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট জেলার নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামছুজ্জামান দুদু, বরকতুল্লাহ বুলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে নির্বাহী কমিটির নেতারা রয়েছেন। প্রায় দেড় শতাধিক গাড়ির বহর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের চারদিনের কর্মসূচি সম্পর্কে জানানো হয়েছে, খালেদা জিয়া ঢাকা থেকে সরাসরি নিজের নির্বাচনী জেলা ফেনীতে যাবেন। সেখানে তিনি সার্কিট হাউসে দুপুরের খাবার ও নামাজ আদায় করবেন।
খানিকটা বিরতি দিয়ে বিকেলে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন। রাতে বন্দর নগরীর সার্কিট হাউসে থাকবেন তিনি।
আগামীকাল রোববার সকালে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হবেন খালেদা জিয়া। সে সময় চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার নেতরাও তাঁর সঙ্গে যুক্ত হবেন। এ দিন জেলা সার্কিট হাউসেই বিশ্রাম নেবেন তিনি।
পরের দিন সোমবার সকাল ১১টায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ত্রাণ দিতে যাত্রা করবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। দুপুরে ফিরে জেলা সার্কিট হাউসেই বিশ্রাম নিবেন। পরে বিকেলে কক্সবাজার ছেড়ে চট্টগ্রামে এসে সেখানেই রাতযাপন করবেন।
মঙ্গলবার ঢাকা উদ্দেশে চট্টগ্রাম ছাড়বেন খালেদা জিয়া। আসার পথেও ফেনীতে যাত্রা বিরতি দেবেন তিনি।