কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলা সঙ্গীতাঙ্গনের কিংবদন্তি ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখন্দের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা জানানো জন্য তার মরদেহ শহীদ মিনারে রাখা হয়। এ সময় শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, সংস্কৃতি সচিব ইবরাহিম হোসেন খান, গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর, গীতিকার কবির বকুল, সংগীতশিল্পী খোরশেদ আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তারসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ ও সংগঠন।
এ সময় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, লাকী আখন্দ সৃজনশীল শিল্পী ছিলেন। তিনি সব সময় শেখাতেন কীভাবে গানকে মানুষের মনে জায়গা করে দিতে হয়। যে বয়সে মানুষ শিখে, সেই বয়সে তিনি মানুষকে শিখিয়েছেন। একজন শিল্পীর কোনোদিন মৃত্যু হয় না। তিনি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।
এর আগে সকাল ১০টায় রাজধানীর আরমানিটোলা মাঠে তার প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। সেখানে তার মরদেহে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফল করা হবে।
টানা আড়াই মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেষে গত সপ্তাহে আরমানিটোলার নিজ বাসায় ফিরেছিলেন এই শিল্পী। শুক্রবার দুপুরে তার শরীরের অবনতি ঘটে। দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬১।
লাকী আখন্দের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে— ‘এই নীল মনিহার’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘মামনিয়া, ‘কি করে বললে তুমি’ ‘লিখতে পারি না কোনও গান, ‘ভালোবেসে চলে যেও না’ প্রভৃতি।