মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাতে রাজধানীর উত্তরায় অভিনেতা ফারুকের বাসায় চলচ্চিত্র পরিবারের নেতাদের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের মধ্যকার দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে।
এ সময় শাকিব এবং চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বায়ক ফারুক ছাড়াও ছিলেন পরিচালক আমজাদ হোসেন, চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি আবু মুসা দেবু, নৃত্য পরিচালক সমিতির সভাপতি মাসুম বাবুল, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, প্রযোজক আরশাদ আদনান।
দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পের বৃহত্তর স্বার্থে মান-অভিমান ভুলে দুই পক্ষ এক কাতারে এসেছে বলে জানা যায়। ফারুক ও শাকিব বলেছেন, ‘আমরা একই পরিবারের সদস্য। আমাদের মধ্যে আর কোনও সমস্যা নেই। আমরা সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করবো।’
মঙ্গলবার বিকাল থেকেই এ সভা সংক্রান্ত কাউকেই মোবাইল ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বাপ্পারাজের নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করা হলে তিনি মেসেজে জানান, সন্ধ্যার পর কথা বলতে পারবেন। শেষমেষ মধ্যরাতে জানা যায় বিস্তারিত।
গত ২৬ আগস্ট সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার (বিএফডিসি) ৮ নম্বর ফ্লোরে নায়করাজ রাজ্জাক স্মরণে শোকসভা ও মিলাদ মাহফিলে তার বাপ্পারাজ শাকিবসহ বেশ কয়েকজন তারকার বিরুদ্ধে নেওয়া নিষেধাজ্ঞার মতো বিতর্কিত পদক্ষেপের সমালোচনা করেন। সবাই এক ছাদের নিচে না এলে আর কখনও এফডিসিতে আসবেন না বলে অভিমানের সুরে জানান জনপ্রিয় এই তারকা। ধারণা করা হচ্ছে, তার মধ্যস্থতায় চলচ্চিত্র পরিবারের সঙ্গে শাকিবের সমঝোতা হলো।
যৌথ প্রযোজনার নিয়ম না মানার কারণে শাকিব ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রধান আব্দুল আজিজকে এ বছরের ২৩ জুন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে চলচ্চিত্র পরিবার। একইসঙ্গে শাকিবের সঙ্গে এই জোটের অন্তর্ভুক্ত ১৮ সংগঠনের সব সদস্যকে কাজ না করার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়। এটি অমান্য করার অভিযোগে কয়েকদিন আগে মৌসুমী, বিদ্যা সিনহা মিমসহ আরও কয়েকজন শিল্পীকে সতর্ক করা হয়। বাপ্পারাজ এ সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেন বাবার শোকসভায়।