গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের উচ্ছেদের নামে হামলা, লুটপাট ও হত্যা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
এর আগে সাঁওতালদের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে গত সোমবার আর একটি রিট দায়ের করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ২ সাঁওতালের পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন। সচিবসহ ১২ জনকে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘এর আগে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। জবাব না পেয়ে রিট করা হলো। আবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আবেদনে উচ্ছেদের নামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, গুলি ও হত্যা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে।’
এর আগে গত ১৭ নভেম্বর সাঁওতালদের নিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আরেকটি রিটে সাঁওতালদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা নিশ্চিত করার ও ধান কাটার সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে তিন সাঁওতালের মৃত্যু হয়। পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।