নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সার্চ কমিটিকে নামের তালিকা জমা দিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল ওয়াদুদের কাছে তালিকা জমা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার।
যদি বিএনপি চেয়রাপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেছিলেন, বেলা ১১টার মধ্যে বিএনপি তাদের নামের তালিকা জমা দেবে।
বেলা সাড়ে ১২টায় রুহুল কবির রিজভী ২টি খাম নিয়ে সচিবালয়ে আসেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হাই কমান্ড আমার কাছে মুখবন্ধ খাম দিয়েছেন। তাই এর ভেতরে কি আছে আমি জানিনা।
রিজভি বলেন, শুধু এটুকু বলতে পারি বিএনপি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের যে ১৩ দফা দাবি করেছিল, নামগুলোতে তার প্রতিফলন আছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১টায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল ওয়াদুদের কাছে তালিকা জমা দেন দলের দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ।
তিনি বলেন, নাম দেওয়া উপলক্ষে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সরকারি বাস ভবন গণভবনে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতি উপস্থিত সবাইকে ৫টি করে নাম জমা দিতে বলেন। সেই নামের ভেতর থেকে ৫ জনের নাম বাছাই করা হয়। পরে দলের সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে খামে ঢুকিয়ে মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমি সেই খামটি জমা দিয়েছি।
কোন বিষয় মাথায় রেখে নাম বাছাই করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে গোলাপ বলেন, ব্যাকগ্রাউন্ড, যোগ্যতা, সততা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নাম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে প্রথম নামের তালিকা জমা দেয় এলডিপি। এ ছাড়া সার্চ কমিটিতে নামের তালিকা জমা দিয়েছে জাতীয় পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, ন্যাপ (মোজাফ্ফর), খেলাফত মজলিস, বিজেপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট, জাসদ (ইনু), খেলাফত আন্দোলন, তরীকত ফেডারেশন, গণফ্রন্ট ও সাম্যবাদী দল।
এর আগে গত শনিবার জাজেজ লাউঞ্জে সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠক হয়। সেখানে কমিশন গঠন নিয়ে বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনার সময় ও তালিকা চূড়ান্ত হয়।
একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়া ৩১টি রাজনৈতিক দলের কাছে নির্বাচন কমিশনের জন্য পাঁচটি করে নামের প্রস্তাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
রাষ্ট্রপতির নির্দেশে গত ২৫ জানুয়ারি ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ দেবে।