রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
সুনীল কুমারের অডিট আপত্তি ও শিক্ষক কামাল হোসেনের বদলী নিয়ে তোলপাড়
প্রকাশ: ১০:৪১ am ২১-১০-২০১৭ হালনাগাদ: ১০:৪৬ am ২১-১০-২০১৭
 
 
 


মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ 

ঝিনাইদহ সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার অধিকারীর সময়কার সাড়ে ২৪ লাখ টাকার অডিট আপত্তি ও শিক্ষক কামাল হোসেনের বদলী নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে। তার উপর আগুনে ঘি ঢেলেছে হুমকী আর দেখে নেওয়ার ওদ্ধত্য। বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, শিক্ষক কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হয়েছে। তাকে ঝিনাইদহ থেকে কামারখালি স্কুলে ষ্ট্যন্ড রিলিজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ছাত্রকে মারধর ও এক ছাত্রের মায়ের সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ২/৩ মাস আগে ঝিনাইদহ সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে মারধর করার দায়ে তাকে মেহেরপুরে বদলী করা হয়। ডিজির নিদের্শে তাকে বদলী করা হলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে খুলনার ডিডিকে ম্যানেজ করে দ্রুত সময়ে তিনি ঝিনাইদহ সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের যোগদান করেন। এতে অভিভাবকরা ক্ষুদ্ধ হন। শিক্ষক কামালের কারশিমা এখানেই থেমে থাকেনি। কয়েকদিনের মধ্যে তিনি আবার ঝিনাইদহ সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে যোগদান করে দেখিয়ে দেন তিনি কত ক্ষমতাধর। ডিজি অফিস থেকে তার ফাইলও গায়েব করে দেন বলে কথিত আছে। সাংবাদিকদের খোঁজ খবরে সচল হয় তার বিভাগীয় শাস্তির ফাইল। তিনদিন আগে তাকে ঝিনাইদহ সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয় থেকে আবারো শাস্তিমুলক বদলী করা হয়। 

তবে তিনি ঝিনাইদহ সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের বাসা ছাড়েন নি। প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম একাধিকবার কামাল হোসনকে কোয়াটার ছাড়তে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে তিনি সেখানেই রয়ে গেছেন। এখন প্রশ্ন উঠৈছে সরকারী কোয়াটারে কোর অঘটন ঘটলে তার দায়ভার নিবেন কে ? এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম একেবারইে নিশ্চুপ। এমনকি ওসমান নামে এক দিবা প্রহরীও তার কথা আমলে নেন না। এ ভাবে চলতে থাকলে স্কুলের প্রশাসনিক দক্ষতা কোথায় গিয়ে দাড়বে এ প্রশ্ন তুলছেন নিরীহ শিক্ষক মহল। এদিকে সাবেক প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে সাড়ে ২৪ লাখ টাকা লোপাটের খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর তিনি বিভিন্ন ব্যক্তিকে হুমকী দিচ্ছেন। এমনকি তিনি সাংবাদিকদেরও দেখে নেওয়া ও শায়েস্তা করার হুমকী অব্যাহত রেখেছেন। কারণ হিসেবে শিক্ষা বিভাগের একটি সুত্র জানায়, কয়েক মাস পরেই সুনীল কুমার অধিকারী অবসরে যাবেন। অডিট আপত্তির টাকা তিনি নিস্পত্তি করে না গেলে অবসরকালীন ভাতা থেকে তার টাকা কেটে রাখা হতে পারে। এ জন্য তিনি পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর চোখে শর্ষের ফুল দেখছেন। অভিযোগ উঠেছে, দুনীতিবাজ সুনীল কুমার অধিকারীর কিছু দালাল শিক্ষক ও কর্মচারী ঝিনাইদহ সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়কে জিম্মি করে ফেলেছেন। তারা শিক্ষকতার পাশাপাশি দলীয় লেজুড়বৃত্তি করাকেও বেশি পছন্দ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT