ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলি হত্যা মামলায় সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং তিনজনের যাবজ্জীবন বহালসহ হাইকোর্টর রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু ও রফিকুল ইসলাম।
আজ বুধবার সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর দুই বিচারপতি হলেন বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। গতকাল মঙ্গলবার রায়ের পুনরায় শুনানি শেষে আজকে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা ছিল।
গত ১০ অক্টোবর এ মামলায় রায় ঘোষণার দিন ধার্য থাকলেও মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের আবেদন করা হয়। পরে আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করে আপিলের পুনরায় শুনানির জন্য দিন ধার্য করে আদেশ দেন। এর আগে খালাফ আল আলি হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে গত ২২ আগস্ট শুনানি শেষে গত ১০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছিল।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ মামলার রায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন। আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি করে হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর একজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ, তিনজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দিয়ে রায় দেন। আসামিদের মধ্যে সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ হাইকোর্টের রায়েও বহাল থাকে। বিচারিক আদালতে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের সাজা কমে আসামি মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু ও রফিকুল ইসলামের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। পলাতক আসামি সেলিম চৌধুরী খালাস পান। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
২০১২ সালের ৫ মার্চ মধ্যরাতে গুলশানে নিজের বাসার কাছে গুলিবিদ্ধ হন সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলি (৪৫)। পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। সেলিম চৌধুরী ছাড়া অপর চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।