চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় স্কুলছাত্রী কনিকা রানী ঘোষকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় আসামি আব্দুল মালেকের ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত।
ঘটনার আট মাসের মধ্যে বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে দেওয়া এ রায়ে আরও তিনটি ধারায় আসামিকে ২৩ বছরের কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিশু আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জিয়াউর রহমান আসামির উপস্থিতিতে বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
পিপি জগদুল হক বলেন, ২০১৬ সালের ২৭ মে সকালে সদর উপজেলার ধাইনগর গ্রামের লক্ষ্মণ ঘোষের মেয়ে কনিকা রানীসহ (১৪) দশম শ্রেণির চার ছাত্রী প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন।
“পথে মহিপুর এলাকায় আব্দুল মালেক (২৮) তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কনিকা রানীকে মৃত ঘোষণা করেন।”
কনিকা স্থানীয় মহিপুর এসএম দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। হামলার শিকার তারিন, তানজিমা ও মরিয়ম তার সহপাঠী।
ঘটনার দিনই স্থানীয়রা মালেককে আটক করে পুলিশে দেয়। মালেক সদর উপজেলার দিয়াড় ধাইনগর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
কনিকার মা অঞ্জলি রানী ওই দিন রাতে আব্দুল মালেকের নামে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সদর থানার এসআই মাহমুদুর রশিদ ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আদালত ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করল।
পিপি বলেন, বিচারক জিয়াউর রহমান কনিকা হত্যার ঘটনায় মামলার একমাত্র আসামি মালেককে ফাঁসির রায় দিয়েছেন।
“অন্য তিন ছাত্রীকে কুপিয়ে আহত করায় একটি ধারায় ৩ বছরের কারাদণ্ড, অন্য একটি ধারায় ১০ বছর এবং আরেকটি ধারায় আরও ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।”
এছাড়া দুটি ধারায় তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। না দিলে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে।
নিহত কনিকার মা অঞ্জলি রানী রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর দেখতে চাই।”