হজ জটিলতায় দায়ী এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠাের ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ কথা বলছেন ধর্মমন্ত্রী আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। বৃহস্পতিবার (০৩ আগস্ট) দুপুর ১২টায় সচিবালয়ের ধর্ম মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। হজের বিভিন্ন বিষয় জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও হজ এজেন্সিগুলো সময়মতো পদক্ষেপ নেয়নি। হজযাত্রীদের নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য হজ এজেন্সিগুলোই দায়ী। হজযাত্রীদের নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা আমরা উদঘাটন করতে পেরেছি। দ্রুতই এ সংকটের সমাধান হবে। সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে কথা হয়েছে। যে হজযাত্রীরা ভিসা পাননি, তাঁরা এখন ভিসা পাচ্ছেন। হজ অফিস জানিয়েছেন, হাজীদের মেয়াল্লেম ফি সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এদিকে বুধবার (০২ আগস্ট) এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, মোয়াল্লেম ফি নিয়েও যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল, তার সমাধান হয়ে যাচ্ছে। ৯১টি এজেন্সির ক্ষেত্রে এই সমস্যা ছিল। আশা করা যাচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি তারা এ বিষয়ে ‘বারকোড’ পেয়ে যাবে। তিনি বলেন, জটিলতা হলেও আশা করছি, এ সমস্যা থেকে উত্তরণ পাওয়া যাবে। ৯১টি হজ এজেন্সির মোয়াল্লেম ফি বৃদ্ধি ও ভিসা জটিলতার কারণে পর্যাপ্ত হজযাত্রী পাচ্ছে না বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এয়ারলাইন্স। গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত পাঁচ দিনে দুটি এয়ারলাইন্সের ১৫টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। গত পাঁচ দিনে দুটি বিমান সংস্থার হজযাত্রী পরিবহন ক্ষমতা কমেছে প্রায় পাঁচ হাজার। এই সঙ্কট সম্পর্কে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলেছে, ৯১টি হজ এজেন্সি মোয়াল্লেম সঙ্কটে পড়ে। ফলে মোয়াল্লেমরা তাদের ফি বাড়িয়ে দেয়। ফি ছিল ৭২০ সৌদি রিয়াল। তারা এখন চাইছে ১ হাজার ৫০০ রিয়াল। এর ফলে যাত্রীপ্রতি প্রায় ১ হাজার ৭০০ টাকা খরচ বেড়েছে। কিন্তু এই বাড়তি টাকা হজযাত্রীরা দিতে রাজি হচ্ছেন না। আবার হজ এজেন্সিও লোকসান দিতে রাজি নয়। তাই তারা একটু দেরিতে ঘর ভাড়া করে খরচ পোষানোর চেষ্টা করছে।