জনপ্রিয় লেখক, কথা সাহিত্যিক ও নাট্যকার প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের ৬৯তম জন্ম বার্ষিকীতে গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামের নুহাশ পল্লীতে কেক কেটেছে ছেলে নিষাদ ও নিনিত।
সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, নুহাশ পল্লীর কর্মকর্তা, কর্মচারি ও ভক্ত-দর্শনার্থীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শাওন সাংবাদিকদের বলেন, আমার ইচ্ছে ছিল এবং এখন আছে নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি জাদুঘর করব। এ প্রস্তাবটি পরিবারের সাথে আমি আলোচনা করেছি। আশা করছি খুব শিগগিরই পারিবারিক সম্মতিতে ওই যাদু ঘরের কাজ শুরু করতে পারব। সেখানে হুমায়ূন আহমদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র (যেমন-চশমা, কলম, টেবিল, হাতের লেখা নাটক বা বইয়ের স্ক্রিপ্ট, বই ইত্যাদি) সংগ্রহে থাকবে।
তিনি বলেন, নুহাশ পল্লীতে ক্যান্সার হাসপাতালের স্বপ্নটি হুমায়ূন আহমেদের। এটি তার লেখায় তিনি ব্যক্ত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর ডাকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলার মানুষ ৯ মাস যুদ্ধ করেছিল। বজ্রকন্ঠের ৭ মার্চের যে ডাক বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন তা অন্য কেউ দিলে হতো না।
হুমায়ূন আহমেদ ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য যে ডাক দিয়েছিলেন তার অবর্তমানে আমি ডাক দিলে সেই সাড়া পাবো বলে ভাবছি না। বাংলাদেশের সরকারি, বেসরকারি বুদ্ধিজীবি, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সবাই এগিয়ে আসলে হুমায়ূন আহমেদের সে ডাকের বাস্তবায়ন সম্ভব। এক্ষত্রে একটি কমিটি করে শুরু করা যেতে পারে। আমি ও আমারা তথা পরিবারের সবাই তাদের পাশে থাকব।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের কবরে পুষ্পস্থাপক অর্পণ করেন মেহের শাওন। পরে স্বামীর আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন শাওন। এসময় অভিনেতা সৈয়দ হাসান সোহেলসহ বিভিন্ন অভিনেতা ও হুমায়ূন ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
লেখকের জন্মদিন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করেন নুহাশ পল্লীর কর্মচারীরা।
নুহাশ পল্লীর ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, তাদের পক্ষ থেকে রোববার রাত ১২টা ১মিনিটে মোমবাতি জ্বালানো ও কেক কাটা হয়েছে। এছাড়া দুপুরে হিমুরা হুমায়ূন আহমদের কবরে পুষ্পস্থাপক অর্পণ করেন।
নুহাশ পল্লীর ভাস্কর আসাদুজ্জামান খান বলেন, স্যারের ৬৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শেকড়-বাকলের তৈরি ৬৯ ধরনের শিল্পকর্মে প্রদর্শণীর আয়োজন করা হয়েছে। সাতদিন চলবে এ প্রদর্শনী। তার তৈরি এসব শিল্পকর্ম বিক্রি করা হবে।
এদিকে হিমু পরিবহনের উদ্যোগে গাজীপুর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহম্মদ হুমায়ূন কবীর।