হোয়াইট হাউজ বলেছে বিভিন্ন বিষয়ে জনসাধারণের পিটিশন করার জন্য তাদের যে ওয়েবসাইট আছে তা মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত থেকে তা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে নতুন সাইট চালু করা হবে আগামী বছর জানুয়ারির শেষে।
২০১১ সালে বারাক ওবামা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে ''উই দ্য পিপল্'' নামে এই ওয়েবসাইটটি চালু করেছিল। ওয়েবসাইটটি চালু করার সময় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল এক লাখের বেশি স্বাক্ষর সম্বলিত সব পিটিশন বা আবেদনের উত্তর দেওয়া হবে। কিন্তু এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ট্রাম্প প্রশাসন কোন আবেদনেই সাড়া দেয়নি। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে তারা এটা বদলে নতুন যে প্ল্যাটফর্ম চালু করতে যাচ্ছে তা অনেক কম খরচে চালানো যাবে। এতে করদাতাদের রাজস্ব তহবিল থেকে বছরে দশ লাখ ডলার বাঁচানো যাবে। হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন বিষয়ে ''জনগণের উদ্বেগের জবাব দেবে আগামী বছর।'' তারা আরও বলেছেন এ বছর যেসব বিষয়ে নিয়ে মানুষ উদ্বেগ প্রকাশ করে আবেদন করেছেন সেগুলোও তাদের তালিকায় থাকবে। ওবামা প্রশাসন এই প্ল্যাটফর্ম যখন চালু করে তখন হোয়াইট হাউজ বলেছিল, ''আমেরিকায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জনসাধারণের মনে উদ্বেগ থাকলে তারা তার সমর্থনে স্বাক্ষর জোগাড় করে যাতে পিটিশন জমা দিতে পারে তার জন্য এই ওয়েবসাইট তৈরি করা হল।'' ৩০ দিনের মধ্যে যদি ওই আবেদনে যদি এক লাখের বেশি সই পড়ে তাহলে হোয়াইট হাউস বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেবে এবং সরকারিভাবে তার জবাব দেবে। জানুয়ারি মাস থেকে জনপ্রিয় যে আবেদনগুলোতে বিপুল সংখ্যক মানুষ সই করেছেন তার মধ্যে রয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পদত্যাগ দাবি করে পিটিশন। আরেকটি ছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেন তার কর জমা দেবার হিসাব প্রকাশ করেন তার দাবিতে পিটিশন। ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব নেবার পর থেকে এক লাখের বেশি স্বাক্ষর থাকা সত্ত্বেও কোন পিটিশনেরই উত্তর দেওয়া হয়নি। চালু হবার পর থেকে এই ওয়েবসাইট সংখ্যালঘু গোষ্ঠির মানুষদের বিভিন্ন ইস্যু সফলভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।