১৭তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ-২০১৬ শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় আয়োজিত মাসব্যাপি এ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশসহ ৫৪টি দেশের শিল্পীদের ৪১৪টি শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হবে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বেলা ১১টায় এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় দেশের প্রখ্যাত শিল্পীদের পরিবেশনায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।
১৯৮১ সালে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৪টি দেশের অংশগ্রহণে এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছিল। এবছর বাংলাদেশসহ ৫৪টি দেশ মাসব্যাপি এ প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে।
প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী উল্লেখযোগ্য দেশগুলো হলো- আর্জেন্টিনা, অষ্ট্রেলিয়া, অষ্ট্রিয়া, ভুটান, ব্রুনাই, বুলগেরিয়া, কম্বোডিয়া, কানাডা, চিলি, চীন, কলম্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, উত্তর কোরিয়া, মিশর, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইতালি, জাপান, কুয়েত, লেবানন, লুক্সেমবার্গ, মালোয়শিয়া, মরিশাস, মায়ানমার, নেপাল, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, ওমান, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, পেরু, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, কাতার, দক্ষিণ কোরিয়া, রিইউনিয়ন আইল্যান্ডস, রাশিয়া, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, সাউথ আফ্রিকা, আয়ারল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, ইংল্যান্ড, আমেরিকা ও ভিয়েতনাম।
এ বছর বাংলাদেশের ১৪৮ জন শিল্পীর ১৫৪টি এবং ৫৩টি দেশের ১৫০ জন শিল্পীর ২৬০টি শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে স্থান পাচ্ছে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো থেকে শিল্পী, শিল্প সমালোচক, মিউজিয়াম কিউরেটরসহ মোট ১৪৫ জন বিদেশি প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকবেন।
মাসব্যাপী প্রদর্শনীর পাশাপাশি আয়োজন করা হয়েছে সেমিনার, পারফরমেন্স আর্টস প্রদর্শনী, আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্প ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগামী ২ ও ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। সেমিনারের বিষয়বস্তু “আর্ট অ্যান্ড দ্য সিটি’।
এছাড়াও চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রোসেসিং জোনে আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে। আর্টক্যাম্পে অংশগ্রহণ করবেন বাংলাদেশের শিল্পী ড. ফরিদা জামান, হাশেম খান, মাহমুদুল হক, মুনিরুল ইসলাম, নাইমা হক, নাজলি লাইলা মনসুর, রফিকুন নবী, রোকেয়া সুলতানা ও সমরজিৎ রায় চৌধুরী এবং চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও শ্রীলংকার শিল্পীরা।
এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী শিল্পকর্মের মধ্যে থেকে প্রতিবছরের মতো এবারও নয়জন শিল্পীকে পুরস্কার দেয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের তিনটি গ্রান্ড পুরস্কার এবং ৩ লাখ টাকা মূল্যের ছয়টি সম্মাননাসূচক পুরস্কার।
পুরস্কারের জন্য শিল্পকর্ম নির্বাচন করবে পাঁচসদস্যের জুরি বোর্ড। বাংলাদেশ, পোল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও জাপানের শিল্পীদের নিয়ে এ জুরিবোর্ড গঠন করা হয়েছে।
এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও অন্যান্য দেশের প্রখ্যাত শিল্পীদের মধ্যে থেকে চীনের ওয়াং চুনচেন, ফ্রান্সের মিস মায়েলো ডাউণ্ট, ইন্দোনেশিার মিস দোলোরোসা সিংহা, জাপানের মিস ইয়োকো হাসেগাওয়া, পোল্যান্ডের জাইমুন্ট রাফাল স্ট্রিরেন্ট এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ইউন জিনসুপ এ প্রদর্শনীতে অংশ নিতে ইতিমধ্যেই ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।
মাসব্যাপী এ প্রদর্শনী ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।