জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত দেশের বৃহৎ ও একমাত্র দানাদার ইউরিয়া উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানার (জেএফসিএল) ৯৯ সিলিন্ডার তরল অ্যামোনিয়া গ্যাস ভুয়া চালানে পাচারের সময় জব্দ করেছে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের অনুসন্ধানী টিম সোম ও মঙ্গলবার কারখানায় অভিযান চালিয়ে এগুলো জব্দ করে। দুদকের সহকারী পরিচালক আমির হোসেন গতকাল এ প্রতিবেদককে জানান, যমুনা সার কারখানা থেকে দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া চালানে নিয়মিত তরল অ্যামোনিয়া সিলিন্ডার গ্যাস পাচার হচ্ছে মর্মে অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে তদন্তে আসেন তারা। তদন্তকারীরা কারখানার ফাইল ও বিভিন্ন বিভাগে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ১১৩টি অ্যামোনিয়া গ্যাস সিলিন্ডারের মধ্যে ৯৯টি জব্দ করেন। জব্দকৃত অ্যামোনিয়া গ্যাস সিলিন্ডারগুলো কারখানার অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ভুয়া চালানে পাচারের চেষ্টা চলছিল। এদিকে কারখানা কর্তৃপক্ষ তদন্তকারী দলকে সহযোগিতা না করায় তদন্তকাজে বিঘ্ন ঘটে বলে জানা গেছে। তদন্ত দলের অন্য সদস্যরা হলেন উপ-সহকারী পরিচালক রাজু মোহা. সরোয়ার, এএসআই হান্নান মিয়া ও কনস্টেবল মোতাহার হোসেন। দুদকের এ তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, জব্দকৃত অ্যামোনিয়া গ্যাস সিলিন্ডার কারখানা কর্তৃপক্ষের জিম্মায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে। অভিযোগ রয়েছে, যমুনা সার কারখানাকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে শক্তিশালী চোরাই সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। ট্রাক ও ট্যাঙ্ক-লরি মালিক সমিতি, সিবিএ, ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি সমিতি, সার ও ডিলার সমিতি, পরিবহন সমিতিসহ স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের নিয়ে গড়া এ সিন্ডিকেট নিয়মিত চোরাইপথে তরল অ্যামোনিয়া গ্যাস, সার ও মূল্যবান যন্ত্রাংশ পাচার করে এলেও কর্তৃপক্ষ নীরব। এসব অপকর্মের সঙ্গে কারখানার উপ-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মাহবুবুল হকসহ কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে কারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আ ন ম শরিফুল আলম পাচারের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ভুলবশত একজনের নামের সিলিন্ডার অন্যজনের নামে চলে গেছে।