নারী নেতৃত্বের সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে দেওয়া ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কার নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরস্কার গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে একটি নতুন জোট গঠনের আহ্বান জানান।
শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) সিডনিতে স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় জমকালো অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সিডনির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত এবং সম্মানিতবোধ করছি। আমি বিশ্বব্যাপী নারীদের এই পুরস্কার উৎসর্গ করছি, যারা ভাগ্য পরিবর্তনে নিজেদের ক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘নারীদের সমর্থন ও তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে আমাদের একটি নতুন জোট গঠন করা উচিত। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ শেয়ার করতে পারবো। এ থেকে লাখ লাখ নারী উপকৃত হতে পারবে।’
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের আমন্ত্রণে উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড নিতে তিনদিনের সফরে সিডনি অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে আমন্ত্রণ জানানো জন্য প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলকেও ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা চার দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন।
এ অনুষ্ঠানে বিশ্বের প্রায় দেড় হাজার নারী নেত্রী উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কার গ্রহণের সময় সবাই উঠে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানান।
বাংলাদেশের নারী শিক্ষা ও ব্যবসায়িক উদ্যোগের বিশেষ অবদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ‘গ্লোবাল সামিট অব উইমেন’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই পুরস্কার দিয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক জীবন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নারী ক্ষমতায়নে সরকারের নানা উদ্যোগ নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসস।